Wednesday 25 June 2014

e-Banking Activities of Abul Kashem Md. Shirin - The Daily Sylheter Dak




সিলেট, বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ১৫ ফাল্গুন ১৪১৯, ১৬ রবিউস সানি ১৪৩৪ 


কৃতী মুখ: সফল ব্যাংকার আবুল কাশেম মোঃ শিরীন



এইচ. চৌধূরী

১৯৮৪ সালে জুন মাসে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে আবুল কাশেম মোঃ শিরীন যোগদান করেন। পোষ্টিং তখন তার ঠাকুরগাঁও চিনি কলে । যোগদান করেই দেখতে পান ড্রাইভারদের ওভারটাইম ব্যবস্থা চালু থাকায় মাঠ থেকে আখ পরিবহনের যথেষ্ট অব্যবস্থাপনা রয়েছে। ফলে আখের পর্যাপ্ত যোগানের অভাবে মিল প্রতিদিনই বন্ধ হয়ে যায়। তাতে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের হার কমে যায় এবং বার বার মিল নতুন করে চালু করাতে মিলের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। অন্যদিকে ড্রাইভারদের দৈনিক ৪ ঘণ্টা ওভার টাইম দিয়েও কাংখিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তিনি ওভার টাইমের পরিবর্তে ইন্সেনটিভ সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেন। বিভিন্ন ধরণের গাড়ী, গাড়ীর বহন ক্ষমতা, রাস্তা ও রাস্তার দূরত্ব ইত্যাদি মাথায় রেখে তিনি একটি ইন্সেনটিভ সিস্টেম তৈরী করেন। ইন্সেটিভ সিস্টেম তৈরী করার চেয়ে তা প্রয়োগ করা ছিল ভীষণ কঠিন কাজ। প্রায় ৩ শত ড্রাইভার ও মিলের কর্মচারী ইউনিয়ন কি তা মানে? এটি প্রয়োগ করতে গিয়ে তিনি ড্রাইভার ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে তিন মাস যাবৎ বিভিন্ন লবিং ও দেন দরবার করেন। এ তিন মাসে কর্মচারী ইউনিয়ন কয়েকবার তাকে অফিসে ঘেরাও করে রাখে এবং আরও কয়েক বার তাকে অফিসে আসতে দেয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ইন্সেনটিভ সিস্টেম চালু করতে সক্ষম হন। এই ইন্সেনটিভ সিস্টেম সকল চিনি কলে চালু করা হয়। আজও এই সিস্টেমটি বাংলাদেশর সকল চিনি কলে চালু আছে।


১৯৯০ সালের জানুয়ারীতে তিনি বিট্রিশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে ব্যাংককস্থ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (AIT) তে মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে থিসিতে এক্সিলেন্ট গ্রেপ নিয়ে তিনি AIT থেকে ডিগ্রি অর্জন করে ৬ মাস সেখানে রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কাজ করেন।

এরপর ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের মতিঝিলস্থ প্রধান কার্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে যোগ দেন। কম্পিউটার বিভাগে যোগ দেওয়ার পূর্বেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে ৪/৫টি কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যবহার করা হতো না।

কর্পোরেশনের ১৮ জন কর্মকর্তা সারা মাস লাগিয়ে যে বেতনের বিবরণী তৈরী করতেন শিরীনের তৈরীকৃত পে-রোল প্রোগ্রামের বদৌলতে সেই বেতন বিবরণী কয়েক ঘন্টায় তৈরি হয়ে গেল।

১৯৯৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বেসিক ব্যাংকে যোগদান করেন। এদেশের উপযোগী একটি যুৎসই আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজাইন করে তিনি তার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার কাছে তা পেশ করেন। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা তা গ্রহণ করে বৈদেশিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রজেক্টটি বাসত্মবায়ন করার জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়। তিনি প্রায় ১ বছর নিরলস চেষ্টা করে বৈদেশিক দরপত্রের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানীকে মনোনীত করে তা অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের বোর্ডে উপস্থাপন করেন। কিন্তু বোর্ড ধরে নেয় এতবড় একটি প্রজেক্ট শিরীনের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকার অপচয় হবার সম্ভবনা রয়েছে। তাই বোর্ড প্রজেক্টটি অনুমোদন দেয়নি।

এতে শিরীন মনকে শক্ত করে নতুন স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে কৃতিত্বের সাথে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করে তিনি দু‘টি মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির অধিকারী হন।

তিনি ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। ডাচ্ বাংলা ব্যাংক (DBBL) এ যোগদানের পূর্বেই বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর সাথে প্রজেক্ট নিয়ে কথা হয়েছিল। তাই ব্যাংকে যোগদানের ৭ দিনের মাথায় তিনি তার প্রজেক্ট সম্পর্কে বোর্ডের কাছে একটি Presentation উপস্থাপন করেন। বোর্ডের ২ জন সদস্য ছিলেন নেদারল্যান্ডের। তারা বেকে বসলেন। বললেন, এই ব্যাংকিং পদ্ধতি নেদারল্যান্ডেই এখনও চালু হয়নি। এদেশে এই প্রজেক্ট চলবে না । বোর্ড মিটিং ভেঙ্গে গেল।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ২/৩ দিন পর আবার মিটিং ডাকলেন এবং আবার বোর্ডে প্রজেক্টটি উপস্থাপন করতে বললেন। যথারীতি বোর্ডে শিরীন বুঝানোর চেষ্টা করলেন, এ প্রজেক্টটি এদেশেই সম্ভব। এদেশে এটিএম এর নিরাপত্তারও অভাব হবে না। তাছাড়া সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধের সকল ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রজেক্টে। দেশে প্রাপ্ত টেলিফোন ব্যবস্থা ব্যবহার করেই কম্পিউটার ও এটিএম এর জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় লোড শেডিং এর সময় কম্পিউটার ও এটিএম চালানোর জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হবে। উপরন্তু, চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন, ২০০২ সালে ব্যাংকের যে ৪৫ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে তা ব্যাংকের মালিকগণ না নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রজেক্টে ব্যয় করা হবে। প্রজেক্ট সফল হলে ভাল, না হলে গবেষণায় এ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। অতঃপর বোর্ড প্রজেক্টটি অনুমোদন দিল।

শুরু হল প্রজেক্ট বাস্তবায়নের প্রস্ত্ততি। ডাটা সেন্টার, ডিআরএস, জেনারেটর, ইউপিএস, নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়ার সফটওয়ার, ডাটাবেজ, এসি, সিসিটিভি, এটিএম, পিওএস, টার্মিনাল ইত্যাদি ক্রয় ছাড়াও পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত লোকবল নিয়োগ-এ এক হৈ চৈ ব্যাপার। কিন্তু সবকিছু সময় মতন চাই। তার নেতৃত্বে ব্যাংকের সব কয়টি শাখাই অন-লাইনের আওতায় চলে আসে। চালু হয় অসংখ্য ATM, দোকানে দেওয়া হয় অসংখ্য POS, টার্মিনাল, প্রত্যেক গ্রাহককে দেওয়া হয় ডেবিট কার্ড, চালু হয় ইন্টারনেট ব্যাংকিং, SMS, ব্যাংকিং, এলার্ট ব্যাংকিং, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ EMV ক্রেডিট কার্ড, আধুনিক কল সেন্টার (Call Center) ও ই-কমার্স ট্রানজেকশনের জন্য Internet Payment Gateway (IPG)।

২২ টি ব্যাংক DBBL এর ATM সেবা তাদের গ্রাহকদের দেয়ার জন্য DBBL এর সালে চুক্তি স্বাÿর করে। আগনিত ছোট বড়, দেশী-বিদেশী কোম্পানীও তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন DBBL এর মাধ্যমে প্রদানের জন্য ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ফলে ব্যাংকটির সুনাম অতিদ্রুত ছড়াতে থাকে এবং ব্যাংকটি অল্প দিনেই জনগণের একটি প্রিয় ব্যাংকে পরিণত হয়। ২০১২ সালে ব্যাংকটির শাখা ১২৫, ATM এর সংখ্যা ২৩০০, POS টার্মিনালের সংখ্যা ৪৫০০, গ্রাহক সংখ্যা ২৫ লক্ষ, FDR এর পরিমাণ মাত্র ৩৫% (অর্থাৎ লোক-কস্ট ডিপোজিটই বেশী) এবং বাৎসরিক মুনাফা ৫শ কোটি টাকার ওপর।

প্রজেক্টটি যেমন নিয়ে এসেছে অফুরন্ত সুফল, তেমনি দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এখন সকল ব্যাংকই অন-লাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে বা করতে চেষ্টা করছে। এতে যেমন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষ আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছে। বলা বাহুল্য যে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা কোনভাবেই উন্নত বিশ্বের চেয়ে পিছিয়ে নেই, বরং অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।

ব্যাংকের সাফল্যের সাথে সাথে শিরীনেওর চাকুরী জীবনেও সাফল্য এসেছে। তিনি ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (DMD) পদে পদোন্নতি পান। আইটি সেক্টর থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে তিনিই প্রথম DMD হন।

অন-লাইন প্রজেক্টের পর শিরীনের মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো গ্রামগঞ্জের গরীব মানুষের কথা। কেন ব্যাংকে তাদের কোন একাউন্ট নেই? কেন শস্য বিক্রির টাকা বা গ্রামের ছোট একটি দোকানে পণ্য বিক্রির টাকা ঘরে রাখতে হবে? কেন দেশের অশিÿÿত লোকজন চেক না লিখে বা এটিএম ব্যবহার না করে টাকা উঠাতে বা জমা দিতে পারবে না? কেন তারা ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবে না? তিনি বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করলেন। আবিষ্কার করলেন-মোবাইল ব্যাংকিংই হবে এর সঠিক সমাধান।

কিন্তু তিনি দেখলেন যে, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই মোবাইল ব্যাংকিং সফল হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না তারও একটা ধারণা তিনি সংগ্রহ করলেন। সব মিলিয়ে আমাদের দেশের উপযোগী একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর রূপরেখা নির্ণয় করলেন তিনি। সেই অনুযায়ী ব্যাংকের বোর্ড ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ২০০৯ সালে শুরু করলেন আরেকটি প্রজেক্ট। রূপরেখা অনুযায়ী সফ্টওয়ার কোম্পানী থেকে নতুন করে সফ্টওয়ারটি তৈরী করতে হবে। তাদের ডেলিভারী অনুযায়ী একটি করে প্রোডাক্ট মার্কেটে ছাড়তে হবে আর সে অনুযায়ী সারা দেশকে তিনটি ভাগে ভাগ করে তিন ধাপে উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপন করতে হবে। সেই সাথে লোক নিয়োগ করে প্রশিক্ষণের পর তাদেরকে বিভিন্ন অফিসে পোষ্টিং দিতে হবে। গ্রাহক সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি গ্রাহকদের লেনদেনের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। তাছাড়া গ্রাহকদের সচেতনতা, নিরাপত্তা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য পত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশাল কাজ। দক্ষতার সাথে না করলে প্রজেক্ট ফেল। গ্রামের জনগণের বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো এখানেও মোবাইল ব্যাংকিং এর অকাল মৃত্যু হবে। কিন্তু তা হলো না। ২০১১ সালের ৩১শে মার্চ সাফল্যের সাথে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় DBBL এর মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়। আর ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে তা চালু করা সম্ভব হয়। এই অল্প দিনের মধ্যে ৭ ক্ষ লোক মোবাইল ব্যাংকিং এর জন্য একাউন্ট খুলেছে ১৭ হাজার এজেন্ট হিসেবে যোগ দিয়েছে এবং ১ হাজার কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয়েছে (অক্টোবর, ২০১২ পর্যন্ত)।

আর বাংলাদেশের এই সুফলের কথা শুনে পাকিস্তন, ইন্ডিয়া, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, লাওস ও ভিয়েতনাম থেকে অনেক ব্যাংক DBBL এর এই মোবাইল ব্যাংকিং এর কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে গেছে। তাছাড়া ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, বিল গেটস্ ফাউন্ডেশন, ডিএফআইডি ইত্যাদি সংস্থা ঘনঘন DBBL এর সাথে মিটিং করে যাচ্ছে। এমনই একটি মিটিং এ অংশ গ্রহণ করার জন্য সেপ্টেম্বর ২০১২ তে জনাব শিরীন আমেরিকার ওয়াশিংটনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অফিসে গিয়েছিলেন।

আবুল কাশেম মোঃ শিরীন ১৯৬১ সালে সুনামগঞ্জ শহরের অদূরে অবস্থিত ধাড়ারগাঁও নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। অতঃপর তিনি ভর্তি হন সিলেট সরকারি এমসি কলেজে। ১৯৭৮ সালে ঐ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঐ বছরই কৃষি প্রকৌশল বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে ভর্তি হন। তিনি ১৯৮৩ সালে কৃষি প্রকৌশল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক কৃষি প্রকৌশল ডিগ্রী অর্জন করেন। ঐ বছরই তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্টিফিক অফিসার ও পার্ট টাইম লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। লেখক : কলামিস্ট।

No comments:

Post a Comment